
শোন ওয়াজীর,মাইকে চিল্লাও পর্দার কথা জোড়ে,
আমি অভাবী ক্ষুধার্ত নারী পর্দা খেয়েছি ছিড়ে।
ওয়াজীর সেজেছো?ভিক্ষা চেয়েছি, তাড়িয়েছো বহুবার,
জলসায় আমি তোমাকেও দেখেছি ,হাত পাতো বারবার।
তোরা চাইলে বড় নোট পাও,অনেক টাকা মুঠে ,
আমি চাইলে পাইনাতো ফাও,দুই টাকা না জুটে ।
কেহ আবার সুযোগ পেলেই,পর্দা ছিঁড়ে হাতাও,
সেও দেয় মোরে বেশ্যা খেতাব?যে ছুঁইছে এই গাও?
আজ কতদিন খাইনি খাবার,কতরাত গেল চলে,
সন্তানেরা মোর উপোসে কাতর,মাটিতে রয়েছে শুয়ে।
বহুদিন হলো উপোসে আছি,খানাপিনা নাই ঘরে,
মনে চায় যে গিলে খাই সব,আকাশ পাতাল ছিড়ে।
আমাকে তোরা খাবার না দিয়ে,পোশাক পরেছ দামি?
তোদের মাথা খাবোরে এবার,চিবিয়ে চিবিয়ে আমি।
আকাশে গিয়ে আল্লাহকে বল,আমার খাবার কই ?
আমার লাশের কাফনও কেন,তোদের পকেটে অই?
ধর্ম জেনেছি সততার মাঝে,সকল সূরাতে বুঝি,
কোরান পড়ে ধার্মিক সেজেছো,বয়ানে কামাও রুজি ?
চারপাশে যেন সব অমানুষ,খাবার দেয়না কেহ,
আমাদের দেখেও হেঁটে চলে যায়,পেট ভরা ধনী দেহ।